কঙ্গোতে জাতিসংঘের দুই বিশেষজ্ঞকে হত্যার জেরে ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ডজনখানেক লোকের এ হত্যাকাণ্ডের জন্য চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচার কাজ চলছে দেশটির সামরিক আদালতে।
জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে দেশটির বিরোধপূর্ণ কাসাই অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জাইদা কাতালান ও মাইকেল শার্প হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। জাইদা হলেন একজন সুইডিশ এবং মাইকেল একজন আমেরিকান। কঙ্গোতে প্রায়শই হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
কিন্তু ২০০৩ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে দেশটি। মানবাধিকার এই দুই কূটনীতিককে হত্যার ঘটনা ব্যাপকভাবে নাড়া দেয় বিশ্বকে।
নিহত বিশেষজ্ঞরা সরকারি বাহিনী ও একটি সশস্ত্রগোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। রাস্তার পাশে তাদের গাড়ি রোধ করে হত্যা করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার পর একই বছর ২৮ মার্চ একটি গ্রামে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। দেশটির কর্তৃপক্ষ দাবি করে সশস্ত্রগোষ্ঠীর লোকেরা তাদের হত্যা করেছে।
কলমকথা/সাথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।